স্কলারশিপ ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা: আল্টিমেট গাইডলাইন

 

স্কলারশিপ ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা: আল্টিমেট গাইডলাইন


আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আজ আমি তোমাদের স্কলারশিপ এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে আল্টিমেট গাইডলাইন দেবো। তোমাকে কিন্তু ধৈর্য্য ধরে শুরু থেকে শেষ অব্দি পুরোটা পড়তে হবে। বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গেলে কি কি লাগে তা জানতে এখানে ক্লিক করো। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক... 


★ নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতেই হবে

বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটা হলো, ডিটারমিনেশন। সেক্ষেত্রে জোন ভাগ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। আমি কি ইউরোপে পড়তে যাব, নাকি আমেরিকা, না কানাডায়। মূলত আমার যে ডিসিপ্লিনটা আছে, সেই ডিসিপ্লিন থেকে আমি কোথায় পড়তে যেতে চাই এবং কেন যেতে চাই। এক্ষেত্রে আগে যাঁরা ওই একই ডিসিপ্লিন থেকে বিদেশে পড়তে গেছেন, তাঁদের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। এতে করে সোশ্যাল লাইটাও অ্যাকটিভ থাকে। তখন পুরো জার্নিটা সহজ হয়ে যায়। এভাবেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন পর্তুগালের কয়িমব্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেমিনিস্ট স্টাডিজ, পিএইচডি প্রোগ্রামের গবেষক ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ইমরান হোসাইন।

★ আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়াই বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে যাওয়া সম্ভব

বিদেশে পড়তে যেতে হলে আইইএলটিএস বা টোফেলের প্রয়োজন হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ব্যতীতও যাওয়া সম্ভব। এমনকি যাঁদের মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন (এমওআই) ইংরেজি, তাঁদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমওআই থাকে ইংলিশ এবং যে বইগুলো থাকে সেগুলোও ইংলিশে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস যদি একটা সার্টিফিকেট দেয় এমওআই ছিল ইংলিশে, সেটা ব্যবহার করেই আইইএলটিএস ছাড়াই বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব। বিশ্বে অনেক দেশ আছে যারা আইইএলটিএসের পাশাপাশি এমআরআইও কাউন্ট করে। তবে আইইএলটিএস হলো একটা শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। যেটা আত্মবিশ্বাসের কাজও করে। যেখানে কনফিউশনের কোনো সুযোগ থাকে না।

★ ভাষার দুটি অংশ 

যেকোনো ভাষার দুটি অংশ থাকে। ভোকাবুলারি, অর্থাৎ শব্দভান্ডার আর অন্যটি হলো গ্রামার, যার মাধ্যমে বাক্য গঠন করা হয়। একটি বাড়ি তৈরি করতে যেমন কলাম এবং ইট লাগে। এই ইটগুলো হচ্ছে ভকাবুলারি আর কলামগুলো হচ্ছে গ্রামার। এই দুইটি বিষয় ভেতর থেকে দক্ষতার সঙ্গে আয়ত্ত করতে পারলে তবেই ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব, নতুবা অসম্ভব।

★ ইংরেজিতে যে স্কিল-গুলো আয়ত্ব করতে হবে 

আমরা প্রত্যেকেই জানি ইংরেজিতে চারটি স্কিল আছে। লিসেনিং, স্পিকিং, রিডিং এবং রাইটিং। এই চারটি বিষয়কে আমরা যখন স্কিল হিসেবে চিন্তা করি, তখন লিসেনিং মানে কোনো কিছু শুনে সেটা বুঝতে পারা। স্পিকিং মানে কোনো কিছু বলে বোঝানো। রিডিং মানে কোনো কিছু পড়ে সেটা বুঝতে পারা। আর রাইটিং মানে হলো কোনো কিছু লেখার মাধ্যমে বোঝানো, অর্থাৎ ইংলিশে যে চারটি স্কিল আছে এর মধ্যে দুটি বোঝানো এবং দুটি বুঝতে পারা। আমাদের এই স্কিলগুলোর ওপর দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইংলিশে বাচনভঙ্গি বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে আমরা আইইএলটিএসে ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হব।

★ সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব

যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিসের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখে তাঁরা বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এক্সট্রা সুযোগ-সুবিধা পান। অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আছে যাঁরা শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর একটা আলাদা গুরুত্ব দেয়। সম্ভাবনাময় কোনো এনজিও, সংগঠন বা কোথাও ভলেন্টিয়ারের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা গুরুত্বসহকারে কাউন্ট করা হয়। DAAD, Australian Aid এদের মধ্যে অন্যতম।

★ ফুল ফ্রি স্কলারশিপ

ফুল ফ্রি অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আছে। যেগুলো বিভিন্ন দেশের হয়ে থাকে। এই ইউনিভার্সিটিগুলো বিভিন্ন সময় বিজ্ঞাপনও দেয়। মূলত যাঁরা দেশের বাইরে পড়তে যেতে চান, তাঁদের সব সময় অ্যাকটিভ থাকতে হবে, আপডেট রাখতে হবে। আগে যাঁরা একই ডিসিপ্লিন থেকে পড়তে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। এতে করে স্কলারশিপের ধারণাও ক্লিয়ার থাকবে।

★ পিএইচডি কি জব ?

যখন বিদেশের কোনো ইউনিভার্সিটি থেকে একটা ডিগ্রি কমপ্লিট করা হয়, তখন বিদেশে যেমন জবের সুযোগ তৈরি হয়, একইভাবে দেশে ফিরেও কাজ করার অবারিত সুযোগ থাকে। মাল্টিন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনগুলো তখন সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে থাকে। অনেক অর্গানাইজেশনের বড় বড় পোস্টের চাহিদাই থাকে পিএইচডি (PHD)। যেমন ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউনেসকো, রেড ক্রস ইত্যাদি। তবে পিএইচডি করে যে শুধু চাকরিই করতে হবে এমনটাও নয়। পিএইচডি একধরনের সেলফ ডেভেলপমেন্টেরও কাজ করে। কারণ বাইরের দেশে পিএইচডি হলো জব। যেটা আমাদের দেশের মানুষের কাছে একটা ডিগ্রি। বিদেশে পিএইচডি করা থাকলে গবেষণার জন্য ফান্ডেরও সুযোগ থাকে। যেটা থেকে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টও পাওয়া যায়; যা বাংলাদেশি টাকায় অনেক সময় সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

★ বেস্ট প্যাকেজ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

স্কলারশিপের জন্য ফান্ড পাওয়াটা অনেক বেশি কষ্টকর। কারণ প্রতিযোগিতাটা থাকে সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিও একটা বড় ফ্যাক্ট। এ জন্য রিচার্জ পাবলিকেশন থাকতে হবে। যেহেতু কমপিটিশন অনেক হাই। আগেই নিজেকে আইইএলটিএস, পাবলিকেশন, সেলফ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ঝালাই করে নিতে হবে। একটা বেস্ট প্যাকেজ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যায়। নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতেই হবে।

এই অংশটুকু লিখেছেনঃ  Dhira Dhali Apu


এবার জানবো বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্পর্কে পাঁচ ভুল ধারণা সম্পর্কে

১. ‘আইইএলটিএসের স্কোর ভালো থাকতে হবে।’ ‘মামা ৭-৮ না থাকলে হবেই না।’ ‘মানসম্মানও থাকে না ব্রো।’
বাস্তবে ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই স্কোর কমবেশি হতে পারে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ৬ বা ৬.৫ স্কোর থাকলেও আবেদন গ্রহণ করে। আরেকটি প্রচলিত ভুল ধারণা হচ্ছে, স্কোর ভালো হলেই বৃত্তি নিশ্চিত। আদতে তা নয়। আইইএলটিএস স্রেফ আবেদনের জন্য একটি মানদণ্ড; এর সঙ্গে আপনার বৃত্তি পাওয়ার সম্পৃক্ততা নেই। স্কোর ভালো থাকলে ভালো, তবে ভালো হলেই আপনি বৃত্তি পাবেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার স্কোর হাতে পেয়ে তবেই আবেদন করতে হবে, তা-ও কিন্তু নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্কোর ছাড়াই আবেদনের সুযোগ দেয়। কিংবা এমন শর্ত জুড়ে দেয়—ভর্তির আবেদন তখনই নিশ্চিত হবে, যখন আপনি স্কোর জমা দেবেন। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে আইইএলটিএস স্কোরের মানদণ্ড শিথিল করে।

২. দুই নম্বর ভুল ধারণাটি আক্ষরিক অর্থেই ‘দুই নম্বর’! সেটা হলো—সিজিপিএ ভালো হতে হবে। অনেকের ধারণা, কম সিজিপিএ হলে বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাও পাপ। জানিয়ে রাখি, সিজিপিএ ভালো থাকলে বেশ ভালো, তবে ভালো না থাকলেও যে আপনি আবেদন করতে পারবেন না বা স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না, তা নয়। সিজিপিএ কম হলেও অন্যান্য ক্ষেত্র, যেমন সহশিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণা বা কাজের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে আবেদন করা যায় এবং বৃত্তির সুযোগও পাওয়া যায়।

৩. ‘ফান্ডিং’ নিয়েও অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে। কেউ কেউ ‘ফুল ফান্ডিং’ ছাড়া পড়তে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, টাকা থাকলেই বিদেশে পড়তে যাওয়া যায়। দুটিই ভুল। ফুল ফান্ডিং না থাকলেও আপনি বাইরে পড়াশোনা করতে পারবেন, তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে টিউশন ফি জোগাড়ের জন্য খণ্ডকালীন কাজ করতে হবে। আবার যাঁরা ভাবেন টাকা থাকলেই বাইরে পড়তে যাওয়া যায়, সেটিও ভুল। সে ক্ষেত্রে বড়জোর ভর্তি হতে পারবেন, কিন্তু পড়ালেখা চালিয়ে যেতে মেধা ও পরিশ্রমই আপনার সম্বল।

৪. অনেকে ভাবেন, বিদেশে পড়ালেখা করতে গেলে তেমন কষ্ট করতে হয় না, মজা–মাস্তি করে কোনো রকম দিন কেটে যায়। ভিন দেশে পড়তে যাওয়া বন্ধুবান্ধবদের সুন্দর, ঝকঝকে ছবি দেখলেই ভেবে বসবেন না—‘খুব চিল হচ্ছে!’ এরা সারা সপ্তাহ প্রচুর পরিশ্রম করে, শনি বা রোববারে একটু ঘুরতে তো যেতেই পারে, নাকি? তাই বলে এটা ভাবা ভুল, যে বিদেশ মানেই আরামদায়ক জীবন। এই ভুল ধারণা নিয়ে বিদেশে পড়তে গেলে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা আছে।

৫. পাঁচ নম্বর মিথ হলো—একবার বিদেশে যেতে পারলেই আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই! দুই হাতে টাকা কামানো যায়! চাকরিবাকরি নিয়ে আর কোনো টেনশনই থাকে না! ভুল। পড়ালেখা শেষে আপনি বিদেশে কিংবা দেশে, যেখানেই কাজ করতে চান না কেন, সেই পরিশ্রম করেই আপনাকে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। জীবনটা তো বাংলা সিনেমা নয় যে একটা বিদেশি ডিগ্রি থাকলেই আপনি বাড়ি-গাড়ি পেয়ে যাবেন। অতএব ভিন দেশে পড়ার ইচ্ছে যদি থাকে—পরিশ্রম করার জন্য, নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন। ‘একবার বাইরে যেতে পারলেই লাইফ সেট’—এমন ভাবনা ভবিষ্যতে আপনাকে ভোগাবে
বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্পর্কে আমাদের মধ্যে নানা ধরনের ভুল ধারণা আছে।

এমন পাঁচটি ভুল তুলে ধরেছেন ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসল, অস্ট্রেলিয়ার
পিএইচডি গবেষক বিপাশা মতিন

বিদেশে পড়তে যেতে চাই আমরা অনেকেই। তবে সবার চাহিদা ও পরিস্থিতি এক থাকে না। 

১. গবেষণার প্রতি তীব্র আগ্রহী: যারা উচ্চতর গবেষণা করতে চায় এবং জীবনের ধ্যান জ্ঞান বলতেই গবেষণাকে বোঝায়, এদের জন্য আমেরিকায় পড়তে আসা সবচেয়ে ভালো। জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণা প্রযুক্তি  খাতে আমেরিকায় ক্যারিয়ার গড়ে নেয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে।

২. জীবনে দ্রুত সেটেল হয়ে স্থির হতে চাইলে: পড়াশুনা গবেষণাই জীবনের সব নয়। এর বাইরেও জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যারা দেশের বাইরে দ্রুত সিটিজেনশিপ পেয়ে, জব, বিয়ে শাদি করে জীবনে সেটেল হয়ে উপভোগ করতে চান তাদের জন্য কানাডা সবচেয়ে বেস্ট। এছাড়াও ইউরোপের আয়ারল্যান্ড পিআর ও নাগরিকত্বের বিষয়ে অনেক ফ্লেক্সিবল। সেখানেও গভমেন্ট স্কলারশিপ রয়েছে। এই নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও আমাদের ইউটিউব  চ্যানেল স্কলারশিপ স্কুল বিডিতে আছে।

৩.  ইয়াং বয়সে ক্যারিয়ারে যারা প্রচুর টাকা উপার্জন করতে চান: পশ্চিমা দেশ থেকে একটা মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে মিডল-ইস্টের ধনী দেশ গুলোয় গিয়ে জব করার টার্গেট রাখতে পারেন। সেখানে অল্প সময়ে অল্প বয়সেই প্রচুর উপার্জন করতে পারবে। মিডল-ইস্টের প্রযুক্তি ও গবেষণাগত খাতের অধিকাংশ পেশাজীবীই বহিরাগত এবং তাদেরকে মোটা অংকের বেতন দেয়া হয়। অল্প সময়ে অনেক সেভিংস করতে পারবেন।

৪.  ঘোরাঘুরি প্রিয়: ইউরোপে পড়তে চলে যান। সেখানে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন দেশ ও  সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন , ঘুরতে পারবেন। জার্মানি, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এসব দেশ পড়াশুনার জন্য বাংলাদেশিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

৫. নিরিবিলি শান্ত জীবন পছন্দ করেন: যারা জীবনটা নির্ঝঞ্জাট, শান্ত ভাবে অল্পতেই তুষ্ট হয়ে কাটাতে চান, নিউজিল্যান্ডে পড়তে যেতে পারেন।

৬. যাদের বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ: অনেকে প্রচন্ড ঠান্ডাতে শারীরিকভাবে কষ্ট পান। তারা অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যেতে পারেন।  সেখানকার আবহাওয়া দেশের মতোই নাতিশীতোষ্ণ। মানিয়ে নেয়াটা সহজ।

৭. কাজ পাগল: আপনি যদি কাজপাগল হন, যাদের বাসায় আসার চাইতে অফিসে, বা গবেষণাগারে  বসে বসে দিন রাত কাজ বা গবেষণা করতেই বেশি ভালো লাগে, তাদের জাপান ও সাউথ কোরিয়াতে পড়তে যাওয়া উচিত।
বি:দ্র: পোস্টটি পড়ে যাদের সব দেশেই যাবার ইচ্ছে করছে, তাদের বিমানের পাইলট হওয়াই ভালো !!

এই অংশটি লিখেছেনঃ নাজমুল হাসান তপু ।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেজ

সম্পুর্ন পোস্টটি সম্পাদনা করেছেনঃ নাইমুর হাসিব আলভী 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url