কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ের গুরুত্বপুর্ন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর - এইচএসসি ২০২৩
কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ের গুরুত্বপুর্ন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
১) অটোফ্যাগী কী? [ঢা. বো. ‘১৯]
উ: প্রতিকূল পরিবেশে অর্থাৎ তীব্র খাদ্যাভাবের সময় বা ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় লাইসোসোমের
এনজাইম মুক্ত হয়ে কোষের অন্যান্য অঙ্গাণু বিনষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে অটোফ্যাগী বা স্বগ্রাস।
২) নিউক্লিওসাইড কী? [ঢা. বৌ. '১৯; রা. বো. ‘১৯]
উ: এক অণু পেন্টোজ স্যুগার ও এক অণু নাইট্রোজেন বেস যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই
নিউক্লিওসাইড
৩) ক্লোরোপ্লাস্ট কী? [য. বো. '১৯]
উ: উদ্ভিদকোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত বিভিন্ন আকৃতির এবং সবুজ বর্ণের যে প্লাস্টিড
সালোকসংশ্লেষণে বিশেষ ভূমিকা রাখে তাই ক্লোরোপ্লাস্ট।
৪) কূপ কী? [চ. বো. ’১৯]
উ: কোষপ্রাচীরে গর্তের ন্যায় অনেক পাতলা এলাকা দেখা যায়, গর্তের ন্যায় ঐ অংশগুলোই হচ্ছে
কূপ।
৫) SSBP কী? [সি. বো. '১৯]
উ: SSBP হলো Single Strand Binding Protein নামক এক ধরনের প্রোটিন যা DNA
রেপ্লিকেশনের সময় DNA অণু আলাদা রাখে।
৬) সেন্ট্রোস্ফিয়ার কী? [সকল বোর্ড ’১৮]
উ: সেন্ট্রিওলের চারপাশে অবস্থিত গাঢ় তরলকে সেন্ট্রোস্ফিয়ার বলে।
৭) আদিকোষ কী? [ঢা. বো. ’১৭; য. বো. ‘১৬]
উ: যে কোষে নিউক্লিয়ার আবরণী পরিবেষ্টিত সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদিকোষ
বলে।
৮) নিউক্লিক এসিড কী? [রা. বো. ’১৭; সি. বো. ‘১৫]
উ: নিউক্লিক এসিড হলো নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক, পেন্টোজ সুগার এবং ফসফোরিক এসিডের
সমন্বয়ে গঠিত এসিড যা জীবের বংশগতির ধারাসহ সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
৯) নিউক্লিওটাইড কাকে বলে? [য. বো. ’১৭; ব. বো. ‘১৭]
উ: এক অণু নিউক্লিওসাইডের সাথে এক অণু ফসফেট যুক্ত হয়ে গঠিত যৌগকে নিউক্লিওটাইড
বলে।
১০) একক পর্দা কী? [সি. বো. ’১৭]
উ: কোষের যেসব পর্দা প্রোটির লিপিড প্রোটিন (P-L-P) নামক তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত
তাদেরকে একক পর্দা বলে।
১১) প্লাজমোলাইসিস কী? [কু. বো. ‘১৭]
উ: বহিঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কোষ হতে পানি নির্গমনের ফলে কোষপ্রাচীর ছেড়ে কোষ কেন্দ্রের
দিকে প্রোটোপ্লাজমের সংকোচনই হলো প্লাজমোলাইসিস।
১২) প্লাজমোডেসমাটা কী? [চ. বো. ‘১৭]
উ: পাশাপাশি কোষগুলো কোষ প্রাচীরের সূক্ষ্ম ছিদ্রের ভেতর দিয়ে প্রোটোপ্লাজমের সূত্রবৎ
অংশের সাহায্যে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। প্রোটোপ্লাজমের সূত্রবৎ এ অংশগুলোই হলো
প্লাজমোডেসমাটা।
১৩) দ্বিপদ নামকরণ কী? [কু. বো. ‘১৬]
উ: ICBN এ নীতিমালা অনুসারে কোনো গণ নামের শেষে একটি প্রজাতিক পদ যুক্ত করে দু'টি
পদের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট জাতির জন্য নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করাকে বলা হয় দ্বিপদ
নামকরণ।
১৪) ট্রান্সমিশন কী? [চ. বো. ‘১৬]
উ: উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ বিভিন্ন মাধ্যমের (যেমন— বায়ু, পানি,হাঁচি-কাশি, বীজ, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি) সহায়তায় ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়াকে ট্রান্সমিশন বলে।
১৫) জেনেটিক কোড কী? [সি. বো. ‘১৬; ব. বো. ’১৬, ‘১৫]
উ: DNA অণুর নাইট্রোজেন বেস সিকুয়েন্স ও পলিপেপটাইড শৃঙ্খলের অ্যামিনো এসিডের মধ্যে
যে সাংকেতিক সম্পর্ক তাকেই জেনেটিক কোড বলে।
১৬) পলিরাইবোজোম কী? [চ. বৌ. ‘১৫]
উ: প্রোটিন সংশ্লেষণের সময় mRNA-এর সঙ্গে বহু রাইবোজোম যুক্ত হয়ে যে রাইবোজোম
শৃঙ্খল তৈরি হয়, তাই পলিরাইবোজোম। রাইবোজোমগুলো Ng + + দ্বারা পরস্পর যুক্ত হয়।
১৭) জিন কী? [দি. বো. ‘১৫]
উ: জিন হলো ক্রোমোসোমের লোকাসে অবস্থিত DNA অণুর সুনির্দিষ্ট সিকুয়েন্স যা জীবের
একটি নির্দিষ্ট কার্যকর সংকেত আবদ্ধ করে এবং প্রোটিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বৈশিষ্ট্যের
বিকাশ ঘটায়।
১৮) ডাইসেন্ট্রিক ক্রোমোসোম কাকে বলে?
উ: দুই সেন্ট্রোমিয়ার বিশিষ্ট ক্রোমোসোমকে ডাইসেন্ট্রিক ক্রোমোসোম বলে।
১৯) অক্সিসোম কী?
উ: মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্রিস্টির গায়ে সুবিন্যস্তভাবে বহু সুবৃত্তক বৃত্তাকার বস্তু থাকে, এদেরকে
অক্সিসোম বলে।
২০) প্ৰিয়ন কী?
উ: প্রিয়ন হলো সংক্রামক প্রোটিন ফাইব্রিল।
২১) মাস্টার ব্লু-প্রিন্ট কী?
উ: মাস্টার ব্লু-প্রিন্ট হলো জিনোম যা জীবের জেনেটিক বা বংশগতীয় তথ্যভান্ডার এবং জীবের
সকল বৈশিষ্ট্যের নীলনকশা ধারণ করে।
২২) ক্রোমোমিয়ার কী?
উ: মায়োটিক প্রোফেজের সূচন। লগ্নে ক্রোমোসোমের ক্রোমোনেমা তন্তুটি স্থানে স্থানে ঘনীভূত
হয়ে যে পুঁতি বা দানার মতো অংশ গঠন করে, তাকে ক্রোমোমিয়ার বলে।
২৩) Splicing কী?
উ: যে বিশেষ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে প্রি-mRNA থেকে Introns বাদ দিয়ে চূড়ান্ত
mRNA তৈরি হয় তাকে Splicing বলে।।
২৪) নিউক্লিয়োসোম কী?
উ: নিউক্লিয়াসে যে ছোট ও অধিকতর যন গোলাকার বস্তু দেখা যায় তাই হলো নিউক্লিয়োসোম।
২৫) ওকাজাকি খন্ড কী?
উ: DNA অণুর অনুলিপনে ল্যাগিং সুত্রের প্রতিলিপিত খণ্ডকে ওকাজাকি খণ্ড বলে।
প্রতিলিপিত খণ্ডকে ওকাজাকি খন্ডক বলে।
২৬) স্যাট ক্রোমোসোম কী?
উ: নিউক্লিওলাস বহনকারী ক্রেমোজোমটিই হলো স্যাট ক্রোমোসোম।
২৭) DNA এর পূর্ণরূপ কী?
উ: DNA এর পূর্ণরূপ হলো- Deoxyribo Nucleic Acid
২৮) টনোপ্লাস্ট কী?
উ: প্রোটোপ্লাজম দিয়ে গঠিত যে পাতলা পর্দা কোষগহ্বর বেষ্টন করে তাকে টনোপ্লাস্ট বলে।
২৯) ইলায়োপ্লাস্ট কী?
উ: চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য সঞ্চয়কারী লিউকোপ্লাস্টকে ইলায়োপ্লাস্ট বলে।
৩০) পিউরিন কী?
উ: অ্যাডেনিন ও গুয়ানিনকে একত্রে পিউরিন বলে।
৩১) প্ৰকৃতকোষ কী?
উ: যে কোষে আবরণী বেষ্টিত নিউক্লিয়াস থাকে তাই হলো প্রকৃতকোষ।
৩২) লাইসোসোম কী?
উ: সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত যে অঙ্গাণু হাইড্রোলাইটিক এনজাইমের আধার হিসেবে কাজ করে
তাকে লাইসোসোম বলে।
৩৩) জননকোষ কী?
উ: বহুকোষী জীবের যেসব কোষ শুধু জনন কাজে অংশগ্রহণ করে, তাদের জননকোষ বা জার্ম
সেল বলে। উদাহরণ- শুক্রাণু ও ডিম্বাণু। জননকোষ হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির (n) হয়ে থাকে।
৩৪) সাইটোপ্লাজম কী? [রা. বো. '১৯; কু. বো. ১৫]
উ: নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত এবং কোষ ঝিল্লি দিয়ে পরিবেষ্টিত প্রোটোপ্লাজমীয় অংশের
নামই হলো সাইটোপ্লাজম।