বাতাস কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?

বাতাস কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে


বাতাস কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?

বিগ ব্যাং সংঘটিত হওয়ার পর মহাবিশ্ব কবি উত্তপ্ত ছিল এবং আস্তে আস্তে তা শীতল হতে শুরু করে। পৃথিবীর অবস্থা একই রকম ছিল পৃথিবীতে শুধু আগ্নেয়গিরি ছিল। এছাড়াও বিগ ব্যাং এর পর হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম তৈরি হয়েছিল, সেটিও পৃথিবীতে ছিল তবে পৃথিবী থেকে এই এই দুই গ্যাস নিঃসৃত হয়ে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের বাইরে চলে যায়। এটা কেন হয়েছে সেটি এখনও কেউ ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি।

পৃথিবী যেহেতু উত্তপ্ত ছিল এবং আস্তে আস্তে শীতল হচ্ছিল তাই এর কাঠামোতে পরিবর্তন আসছিল। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ অগ্নিগিরি থেকে অ্যামোনিয়া, স্টিম (যাকে আমরা পানি হিসেবে চিনি) এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসৃত হত।

দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় পৃথিবীর অবস্থা শীতল হওয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পৃথিবীতে জলভাগ তৈরি হয়। আমরা সবাই জানি, পানি হল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের যৌগ।

এছাড়া অগ্নিগিরি থেকে যে এমোনিয়া নিঃসৃত হয়েছিল সেটি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে বিজারিত হয় নাইট্রোজেন তৈরি করে।

কার্বন ডাই অক্সাইড পানির বিভিন্ন অণুজীবের সংস্পর্শে এসে বিক্রিয়া করে অক্সিজেন তৈরি করে। এটি খুব একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পন্ন হয়। বিগ ব্যাং হয় ১৪ বিলিয়ন বছর আগে আর অক্সিজেন প্রথম তৈরী হয় ৩.১ অথবা ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে।

এভাবে আস্তে আস্তে এই গ্যাসগুলোর সংমিশ্রনে বায়ুমণ্ডল তৈরি হয় এবং পৃথিবীর অভিকর্ষ কারণে সেটি পৃথিবী থেকে বাইরে যায় না। বায়ুমণ্ডলের ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২২ শতাংশ অক্সিজেন এক থেকে দুই শতাংশ অন্যান্য গ্যাস।

এই দীর্ঘ একটি সময়ের পরিক্রমায় মাধ্যমে আমাদের চিরচেনা বায়ুমণ্ডল বাতাস তৈরি হয়েছে।

প্রথমে যে বিষয়টা নিয়ে শুরু করেছিলাম সেটি এখন বলা যাক।

আসলে বাংলায় বিজ্ঞান যতটা অগ্রসর হওয়ার কথা ছিল, এটি আমাদের ব্যর্থতার কারণে ততটা হতে পারেনি। তাই দেখা যায় অনেক বৈজ্ঞানিক বিষয় এর ক্ষেত্রে বাংলায় একই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়। যার কারণে বুঝতে অসুবিধা হয়।

1.. Air

এই বাতাস হল এতক্ষণ যে বাতাস নিয়ে আলোচনা করলাম। অর্থাৎ আমাদের চিরচেনা বায়ুমণ্ডল অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরি।

2. Wind

বাংলা অর্থ করলে এর অর্থ বাতাস দাঁড়ালেও, মূলত জিনিসটা ভিন্ন। এই বাতাস বলতে বোঝায় দুই স্থানের বাতাসের পার্থক্যের ফলে যে চাপের সৃষ্টি হয় সেটি।

সাধারণত কোন স্থানে যদি তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় তাহলে ওই স্থানের বায়ু হালকা হয়ে যায় ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ওই অঞ্চলে বায়ু শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য আসে। একে নিম্নচাপ বলে। আর এটিতে যে বাতাসের স্থান পরিবর্তন হয় তাকে Wind বলে।

3. Brezze

কত কবি বাতাসে মুগ্ধ হয়েই কবিতা লিখে বিখ্যাত হয়েছেন তার কোন খবর নেই। এই বাতাই হল সেই বাতাস, যে বাতাস পৃথিবীতে লাখ লাখ করি তৈরি করেছে।

এটি দ্বারা স্নিগ্ধ বাতাস বোঝানো হয়।

wind এবং breeze পরস্পরের নানাত ভাই বলা যেতে পারে কেননা দুটির মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই শুধুমাত্র চাপের পার্থক্য।

যদি দুই স্থানের মধ্যে বাতাসের চাপ বেশী থাকে তাহলে এর ফলে বাতাসের যে স্থান পরিবর্তন হয় তাকে wind বলে

আর যদি দুই স্থানের মধ্যে বাতাসের চাপ হালকা থাকে তাহলে এর ফলে বাতাসে স্থান পরিবর্তনকে breeze বলা হয়।

আশা করি বাতাসের উৎপত্তি ও প্যারাডক্স বুঝতে পেরেছেন। শেষ করার আগে কবিত মনে পড়ে গেল:

Cool breeze and fresh air,
Give comfort and raise hair,
Body relaxed and sound sleep,
Novel ideas and insight to peep.

তথ্যসূত্র:

১. What is the difference between Air, Wind and Breeze?

২. The Earliest Atmosphere

৩. nitrogen - Compounds

৪. How did Earth's atmosphere form?

৫. Cool Breeze Poem by Mehta Hasmukh Amathalal - Poem Hunter

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url