বিসিএস প্রশ্নের ধরণ বা বিসিএস প্রশ্ন পদ্ধতি (বিসিএস প্রশ্ন কাঠামো) || BCS Question Patterns / BCS Question System

বিসিএস প্রশ্নের ধরণ বা বিসিএস প্রশ্ন পদ্ধতি  (বিসিএস প্রশ্ন কাঠামো) ||  BCS Question Patterns / BCS Question System


বিসিএস বিষয়ভিত্তিক আলোচনা 


  • BCS ENGLISH Preparation / বিসিএস ইংলিশ প্রস্তুতি
  • বিসিএস বাংলা প্রস্তুতি
  • বিসিএস বাংলাদেশ বিষয়াবলী প্রস্তুতি
  • বিসিএস বিজ্ঞান প্রস্তুতি
  • বিসিএস গনিত প্রস্তুতি
  • বিসিএস মানসিক দক্ষতা প্রস্তুতি
  • বিসিএস গাণিতিকযুক্তি ও মানসিকদক্ষতা প্রস্তুতি
  • বিসিএস আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রস্তুতি

English: 200


* প্রথমে প্যাসেজ থেকে ৩০ নম্বরের প্রশ্নোত্তর দিতে হবে। যার Purpose হচ্ছে Understanding ability দেখা এবং প্রশ্নে উল্লেখ আছে Write the answers in your own wordings and phrasings.
* এ অংশের জন্য S@ifur's Reading বইটা থেকে কিংবা যে কোন একটা রিটেন ইংলিশ গাইড নিয়ে প্রতিদিন একটা করে ১০ দিনে ১০ টা অনুশীলন করুন। সময় নিয়ে করুন। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর৫/১০ মিনিট বিরতি নিন।এরপর আবার শুরু করুন।
*Grammar এর ৩০ নম্বরের জন্য নিয়মিত ২/১ টা করে রুলস শিখুন এবং ঐ রুলসের প্রয়োগ করুন।
*প্যাসেজ, Editorial letter/Feature,Translation, Essay, Summary সব কিছুর জন্য গুরুত্ব দিতে হবে
Vocabulary (যত পারুন নতুন শব্দ ও ব্যবহার শিখুন।
**Join sets of sentence /Using Appropriate subordinates প্র্যাকটিস করুন।
** Use appropriate Punctuation, Capitalization & Quotation marks etc.শিখতে হবে। এগুলো যত পারুন, বার বার পড়ুন।
**Essay এর জন্য সমসাময়িক তথ্য আর সহজ ভাষায় লেখার এবিলিটই যথেষ্ট।যেকোন একটা টপিকস আপনি সিলেক্ট করুন। যেমন, The Rise of Religious Extremism as a Global Threat.
এ বিষয়ে বাংলায় পড়ুন আগে। এরপর ইন্টারনেট থেকে ২/১ টা ইংরেজি আর্টিকেল পড়ুন, এ বিষয়ে । দু'দিন পরে, এ বিষয়টা নিয়ে পূর্ণ ১ ঘণ্টা ইংরেজিতে সহজ ভাষায় লিখুন। তারপর, আপনার চেয়ে ইংরেজিতে এগিয়ে আছে এমন কাউকে দেখান। আর না পারলে, নিজেই চেক করুন।
*এভাবে, সপ্তাহে ৪/৫ টা টপিকস অনুশীলন করে ধারনা নিয়ে রাখুন।
*এ ক্ষেত্রে আরো একটা কাজ করতে পারেন, রিডিং প্যাসেজের উপরও নিজে রচনা লেখা ট্রাই করতে পারেন। অর্থাৎ রিডিং প্যাসেজ যেগুলো প্র্যাকটিস করবেন, সেগুলোর উপরই নিজের ভাষায় রচনা লিখবেন।
**ভুল হওয়ার ভয়কে জয় করে, অনুশীলন শুরু করুন।
ফরেন ল্যাংগুয়েজে কম বেশি সবারই ভুল হবে।

 

বাংলা : ২০০


★ব্যাকরনের জন্য সিলেবাস ধরে ধরে প্রতিটি টার্ম ভালো করে পড়ুন।
★বাংলা একাডেমির বানান রীতি গুলো ভালো করে শিখুন।
★ভাব সম্প্রসারণেরর জন্য সহজ সরল আর প্রাঞ্জল ভাষায় মূল কথা গুছিয়ে লিখুন। হায়াৎ মামুদের বই থেকে কমপক্ষে ২০/৩০ টা ভাব সম্প্রসারণ কেবল একবার করে রিডিং পড়ুন। আর লেখার মূল ধারাটা বুঝুন। মুখস্থ করতে হবে না। আর অনুশীলনের ও প্রয়োজন নেই। যদি কিভাবে সাজাবেন তা বুঝতে পারেন।
★একটা বইয়ের কমপক্ষে ৫০ -১০০ টা সারাংশ /সারমর্ম শুধু পড়ে যান। বুঝার ক্ষমতা বাড়বে। সারাংশ আর ভাবসম্প্রসারণ মূলত বিপরীত প্রক্রিয়া। তাই একটা বুঝলে, আরেকটাও পারবেন।
★বিভিন্ন বিখ্যাত ঔপন্যাসিকের বেশ কয়েকটা বিখ্যাত উপন্যাস পড়তে পারলে, লেখার ভাষা মানসম্মত হবে।
★রচনা, ভাবসম্প্রসারন এবং গ্রন্থ সমালোচনায় কাজে আসবে।
★পত্রিকার পাতার বিভিন্ন কলামিস্ট, বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞের লেখা নিয়মিত পড়লে আপনার লেখায় আলাদা একটা মাধুর্য আসবে।
★পেপার থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য,কোটেশন এবং কিছু সাম্প্রতিক রিপোর্টের তথ্য মনে রাখুন। এবং সুযোগমত কাজে লাগান।
★লেখকদের কথা সম্পূর্ণ রূপে মনে না থাকলেও নিয়মিত নোট তোলা, আপনার লেখাকেই অনন্য করে তুলবে।
★সাহিত্যর ক্ষেত্রে প্রিলির প্রিপারেশনটা আরেকটু গভীরভাবে জানুন। এক্ষেত্রে একটা গাইড কিনে সব প্রশ্নের উত্তর একবার দেখে নিন। জরুরী তথ্যগুলো নোট নিন। আর লেখার সময় একটু সাজিয়ে গুছিয়ে, উপমা, উপাধি ইত্যাদি দিয়ে সাহিত্যের রস ফুটিয়ে তুলুন।
★ বিখ্যাত লেখকদের ক্ষেত্রে কিছুটা সাহিত্যিক ভাষায় লিখুন।
যেমন : রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের তিনটি নারী চরিত্র বর্ণনা করুন /নজরুলের ঔপন্যাসিক সত্তার পরিচয় দিন।
এ প্রশ্নের উত্তরের প্রথম লাইন, এভাবে দিতে পারেন :
সূর্য যেমন অফুরন্ত আলোকরশ্মি দিয়ে পৃথিবীকে, আলোকে উদ্ভাসিত করে, ঠিক তেমনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)/ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম(১৮৯৯-১৯৭৬) ও তাঁর অফুরন্ত মেধা রশ্মি দিয়ে বাংলার সাহিত্যাকাশকে আলোকে উদ্ভাসিত করেছেন। তাঁর সুনিপুণ লেখনীর অসামান্য ছোঁয়া লেগেছিল ছোটগল্পেও /উপন্যাসেও।
এরপর, অল্প কথায় মূল উত্তরটা দিতে পারেন।
★ গ্রন্থ সমালোচনার ক্ষেত্রে ও এভাবে উপমা দিয়ে সাজান। যাতে লেখায় মাধুর্য আসে।
★★বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বানানের পাশাপাশি বর্ণের মাত্রার ব্যবহারে সচেতন হোন।
★★লেখা সুন্দর না হলেও স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।
★গ্রন্থ সমালোচনার জন্য কিছু ঐতিহাসিক,
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বইয়ের তালিকা করে গাইড বই থেকে একবার পড়ুন। উইকিপিডিয়া বা ইন্টারনেট থেকে একবার পড়ুন।
★কিন্তু লিখবেন একদম নিজের ভাষায়।
সহায়ক গ্রন্থ :
*বাংলা সাহিত্যর ইতিহাস --মাহাবুবুল হক
*ভাষা শিক্ষা------হায়াৎ মামুদ
*গাইড একটা
*লাল নীল দীপাবলি --হুমায়ূন আজাদ

 

বাংলাদেশ বিষয়াবলী : ২০০


*এ বিষয়ে নম্বর তোলার দারুণ সুযোগ রয়েছে। যেহেতু ৪০ *৫ করে, তাই অল্প কথায় মূল উত্তর দিতে পারলেই, অনেক নম্বর পাবেন।
*সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।
*সিলেবাসের ১,৩,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১৪ এবং ১৬ টপিক্স গুলোর সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল, সঠিক টীকা করে করে দ্রুত পড়ুন।
*সংবিধানে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন। অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে, মূল কথা লিখতে পারলেই যথেষ্ট মার্কস পাবেন।
*গতানুগতিক না লিখে প্রশ্নের মূল বিষয়টা বুঝুন।
#যেমন :বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ টি বৈশিষ্ট লিখুন।
এই প্রশ্নের উত্তরে লিখিত,দুষ্পরিবর্তনীয়, প্রস্তাবনা সম্বলিত,মৌলিক অধিকার সম্বলিত এবং প্রজাতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য, এ ৫ টি লেখা যায়। এভাবে অনেকেই লিখবেন।
কিন্তু যদি এভাবে লিখি :
বাংলাদেশের সংবিধান নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম সংবিধান। অার এ সংবিধানের বেশ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ৫ টি হলো :
১.পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর (অনুচ্ছেদ ১৮-ক)
২.উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ (অনুচ্ছেদ ২৩-ক)
৩.ধর্মীয় নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা (অনুচ্ছেদ ১২,৪১)
৪.মৌলিক অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা (অনুচ্ছেদ ২৬)
৫.ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরন রক্ষা (অনুচ্ছেদ ২২)
তাহলে কিন্তু নম্বর প্রাপ্তিতে অবশ্যই শেষের উত্তরদাতা এগিয়ে থাকবেন।
অর্থাৎ গতানুগতিক না লিখে, নিজের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে মেইন পয়েন্ট ফুটিয়ে তুলুন।
*মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুলো রেফারেন্স সহ দেখে নিন।
*সবগুলো প্রশ্ন টাচ করুন। দ্রুত লিখুন। প্রথম প্রশ্নো গুলো বড় না করে, শেষ পর্যন্ত একই ধারাবাহিকতায় লিখুন।

 

আন্তর্জাতিক: ১০০


*একটু সচেতন হলেই এ বিষয়ে ও অনেক মাকর্স ওঠে।
*সেকশন A তে বেশি টপিকস নেই। সবগুলো টপিকস কেবল টীকা আকারে মেইন ধারনা নিয়ে নিন।
*মূল জানা থাকলে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। এবং এ অংশে কমন ও পাবেন।
*লেখা তত্ত্ব ও তথ্যবহুল হওয়া চাই
*সেকসন বির জন্য সমস্যা, বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংস্কার /সমাধান দেখে নিন।
*গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মতামত রেফারেন্স সহ লিখে, নিজের মতামত অল্প কথায় লিখুন।
*পত্রিকার কলাম অনেক কাজে অাসে।
*সেকসন সিতে সাম্প্রতিক বিষয়ে সমাধান আসে। তাইই, এখনি মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
*বিভিন্ন গবেষক ও বিশ্লেষকরা কি মতামত দেন, জেনে রাখুন।
*যেমন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ কী বলছে জেনে রাখুন।
*আমেরিকা ইস্যুতে বিশ্লেকরা কী বলছেন, প্রভাবশালী অান্তর্জাতিক পত্রিকা কী লিখছেন সেই সব মাথায় রাখুন।।
বাংলাদেশ ও অান্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :
১. 👉জাতিসংঘের বর্তমান পরিস্থিতি, ভূমিকা ও সংস্কার
২. 👉রোহিঙ্গা ইস্যু
৩. 👉জলবায়ু ইস্যু
৪. 👉এসডিজি
৫. 👉ব্রিকস /এনডিবি
৬. 👉সাইবার ক্রাইম ;গ্লোবাল থ্রেট
৭. 👉মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্ব ও বিশ্ব
৮. 👉নতুন বিশ্বব্যবস্থা
 ৯. 👉জাতিসংঘ নিয়ে স্যার জ্যাফরি ডি স্যাকস, বাংলাদেশ নিয়ে বিয়ার্ন লোমবোর্গ এবং প্রতীক বর্ধন অনুদিত প্রজেক্ট সিন্ডিকেটের সমসাময়িক ইস্যু সংক্রান্ত লেখাগুলো অনেক কাজে আসবে।

 

গাণিতিকযুক্তি ও মানসিকদক্ষতা : (৫০+৫০)


#৩৫ তম বি সি এসের গণিতের লিখিত পরীক্ষার পর গণিতে ভয় বেড়ে গেছে অনেকের। যারা গনিত নিয়ে খুব টেনশনে আছেন, তাদের বলছি....এতটা টেনশনের দরকার নেই। সত্যিই নেই।
##যেহেতু সময় বেশি নেই এবংগণিতে ৫০ নম্বর সেটা মনে রাখুন। আর সেই ৫০ নম্বরের মধ্যে যদি আপনি ২০/২৫ ও পান এবং মানসিক দক্ষতায় ৩৫/৪০/৪৫ পান তাহলে আপনার নম্বর কিন্তু ৫৫,৬০ বা ৬৫ পর্যন্ত আসবে। যা নিঃসন্দেহে একটা ভালো স্কোর।
#✍🏻তাই যারা গণিতে ভালো, তাদের অভিনন্দন। এবং যারা কিছুটা দুর্বল, তাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে ৫০ মার্কসের এক্সামের জন্য চেষ্টাও ৫০ মার্কস অনুপাতে করুন। এমন যাতে না হয় এ বিষয়ে ২০ মার্কস বাড়াতে গিয়ে ২০০ মার্কসের কষ্ট আর অন্য বিষয়ের ২০/৫০ নম্বরে বাড়তি পাওয়ার সুযোগ হারিয়ে দিলেন।
#✍🏻তাই যেসব পারেন ওগুলোই বারবার করুন। যা একদমই বোঝেন না, তার পেছনে সময় নষ্ট করার মানে হয়না। ঐ টা নাও আসতে পারে কিংবা আসলেও খুব কম নম্বরের হতে পারে। যা আপনি অন্য বিষয় দিয়ে সহজেই কাভার দিতে পারবেন।
#✍🏻যারা পারবেন তারা উচ্চতর গনিত বই থেকে সিলেবাসের অধ্যায় গুলো করুন।
#✍🏻যারা আরেকটু কম পারেন, তারা নবম দশম শ্রেণির নতুন পুরাতন দু'টো বই ই উদাহারনসহ ভালো করে করুন। জ্যামিতি অংশ সহ। আশা করছি উতরে যাবেন।
#✍🏻সম্ভব হলে ৮ম শ্রেণিরটাও করুন।
 #✍🏻আর কয়েকদিন পরপর একটা একটা মডেল টেস্ট দিয়ে দেখুন, কতটা এগুলেন।

 

মানসিক দক্ষতা:


★মানসিক দক্ষতার জন্য আলাদাভাবে প্রিপারেশন নিতে হয় না। আমি নেই নি।
★তবে আপনারা এক্ষেত্রে বুঝে বুঝে গত কয়েক বছরের প্রশ্নের সমাধান করুন। এরপর, কয়েকটা মডেল টেস্ট দিন। অনেক কাজে আসে।
★এ অংশের বেশির ভাগ প্রশ্নই বাংলা ও ইংরেজি বানান,শুদ্ধিকরন, সা:জ্ঞান, গণিত এবং কমন সেন্সের ভিত্তিতে আসে। তাই ওসব বিষয়ের সাথেই প্রস্তুতি হয়ে যায়।
 ★তবে প্রশ্নসমূহের সমাধান করতে পারলে, একটা ভালো ধারণা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

 

বিজ্ঞান :


Part -A(General Science)
★ এ অংশে দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয় থেকে সৃজনশীল টাইপের প্রশ্ন আসছে। তাই ওভাবেই প্রিপারেশন নিন।
★এ অংশের জন্য নবম দশম শ্রেণির নতুন সাধারণ বিজ্ঞান বইটা ভালো করে পড়লে ৮০-৯০% উত্তর করা সম্ভব, (আমার মতামত)।
★আগের ৩০-৩৬ প্রশ্ন সমূহ দ্রুত শিখে নিন।।
★নবম দশম শ্রেনির বিজ্ঞান গাইডটাও দেখতে পারেন।
সহায়ক গ্রন্থ :
#♦সাধারণ বিজ্ঞান (৯ম-১০ম)
 #♦একটি লিখিত গাইড


Part-B : Computer & Information Technology
★প্রথমেই সিলেবাস ধরে ধরে ইজি টপিকস অর্থাৎ যে সব আপনার কাছে সহজ মনে হয়, সেসব টপিকস পড়ে নিন।
★এরপর বাকি গুলো অর্থাৎ কঠিন টপিকস গুলো ধরুন। যা একদমই পারেনা বা বুঝেন না, তা বুজতে চেষ্টা করুন। এরপরও না পারলে জাস্ট বাদ দিন। সবকিছুই জানতে হয়না ।
★ এ পার্টে ভালো করতে সাম্প্রতিক তথ্যপ্রযুক্তির নতুন তথ্য এবং ICT এর ব্যাবহারেও দক্ষতা দরকার।
★পি এস সি এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা ICT প্রশ্নগুলো শিখে নিন।
সহায়ক গ্রন্থ :
# ♦তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (১১শ-১২শ)
# ♦ইজি কম্পিউটার
 # ♦ রিটেন গাইড


Part-C. Electrical and Electronic Technology
★নন সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড লোকজনের জন্য এ পার্ট টা সত্যিই কষ্টকর।
★তাই যতটুকু পারেন, শিখুন। বাকি নম্বর তেমন বেশি বরাদ্দ নেই (১৫)। তাই এ পার্টের খুব বেশি টেনশনের দরকার নেই।
আপাতত, বাকি সব ভুলে কেবল পড়তে থাকুন।
মনে রাখবেন, আপনার ভবিষৎ আপনার হাতে-ই।
প্রথম বিসিএস বলে কোন কথা নাই, এটাই একমাত্র সুযোগ।
শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়ে যান।
কষ্ট, চেষ্টা আর পরিশ্রম কখনো বিফলে যায়না।
জীবনের লড়াইয়ে যোগ্যতমরাই টিকে। অার সঠিক পরিশ্রমের মাধ্যমেই যোগ্যতা অর্জন করা যায়।

বি সি এস  ভাইভা প্রস্তুতি


 ★আমার কাছে ভাইভাটা এক্সামের চেয়ে আরও বেশি কিছু। বিশেষ করে বি সি এস ভাইভা যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে!
তাই প্রিপারেশনটাও একটু ভালো করেই নেন। ভাবুন এটাই আপনার একমাত্র ভাইভা। কোন সেকেন্ড চান্স নেই। আপনাকে পারতেই হবে। হলে এবার নয়তো নয়।


 ★প্রথমেই নিজেকে জানুন।নিজেকে ভাঙ্গুন, বিশ্লেষণ করুন। নিজের দোষ গুলো, যা অন্যক বিরক্ত করে তা নিজেই খুঁজে বের করুন। সেসব দোষ গুলোকে দূরে ফেলে নিজেকে নতুন করে গড়ুন।


 ★কথা বলুন সহজ, সরল আর স্বাভাবিক ভাষায়। আপনাকে স্মার্ট হওয়ার দরকার নাই, কেবল সহজ আর স্বাভাবিক থাকুন।


 ★বাংলা আপনার নিজের ভাষা। তাই বাংলা উচ্চারণ শুদ্ধ হওয়া চাই। বিশেষ করে অল্প প্রাণ -মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ। অর্থাৎ প,ফ, ব,ভ,ড,ঢ, স,শ এসব যাতে সঠিক হয়। আর এটি একদিনে সম্ভব নয়। তাই এখন থেকে প্র্যাকটিস করুন।


 ★বসার ভঙ্গি থেকে শুরু করে মুখের অভিব্যক্তি সবই খেয়াল করুন। সহজ ও সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করুন। যাতে নম্রতা ফুটে ওঠে। আই কন্টাক্ট ঠিক রাখুন।প্রশ্নকর্তার দিকে সুন্দর দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলুন।


 ★সব উত্তর জানা কোন নরম্যাল মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই কোন প্রশ্নের উত্তর না পারলেও স্বাভাবিক থাকুন। অনেক উত্তরই আপনি পারবেন না।


 ★★হয়তো কোন উত্তর আপনি পারেন না। এটাকে সহজে নিন।এবং সহজ ভাবেই বলুন, জানেন না। এটা আপনার প্রতিকূল অবস্থায় কতটুকু ঠিক থাকতে পারবেন, সেটার প্রকাশ।


 ★হাসি মুখে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করুন।


 ★ হতাশ বা নার্ভাস না হওয়ার চেষ্টা করুন।


 ★মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে যত সম্ভব জানুন এবং ইতিবাচক ধারণা রাখুন। এটি কেবল ভাইভা নয়, একজন সচেতন নাগরিকের জন্যও অতীত জরুরি।


 ★আপনার নিজের সাবজেক্টের কমন ও গুরুত্বপূর্ণ টার্ম গুলো ভালো করে জেনে রাখুন।


★কোন বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাইলে, পজিটিভ উত্তর দিন। যেমন :
আমি চেষ্টা করব বা আমি করতে চাই..... না বলে বলুন, আমি পারবো, আমি করবো। আপনার কণ্ঠে যেন দৃঢ়তা থাকে।


 ★মেধা যাচাইয়ের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আপনি পাস করেই এসেছেন। এটা আপনার মেধা নয়, সাথে ব্যাক্তিত্ব, মনোভাব, দৃঢ়তা, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা সহ সক্ষমতা দেখার পরীক্ষা।


 ★তাই Etiquette & politeness ধরে রাখুন।


সর্বোপরি,
সাম্প্রতিক বিষয়,ক্যাডার চয়েজ, ক্যাডার চয়েজের কারণ, প্রথম তিনটা চয়েজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা, নিজস্ব সাবজেক্টে ভালো জ্ঞান, ১ম ক্যাডার চয়েজের সাথে নিজ সাবজেক্টের সামঞ্জস্যতা দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে স্বচ্ছ ও পজিটিভ ধারণা এবং সাথে ভদ্র, সহজ,সরল এবং স্বাভাবিক রেসপন্সই আপনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
*উপর্যুক্ত বিষয়গুলো একদিনে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।
তাই তা এখন থেকেই প্র্যাকটিস করুন। এসব বিষয় আপনার ভাইভা নয়ং বরং বাকী জীবনেও লাগবে। যা আপনাকে আরও ভালো ও যোগ্য করে তুলবে।
★প্র্যাকটিসের জন্য বেশ কয়েক জন বন্ধু মিলে Mock Viva দিন। আর নিজেরাই আমাদের ভুল গুলো ধরতাম। এটা অনেক কার্যকরী। আত্ম বিশ্বাস বাড়ায়, সাহস যোগায়।
নিচের টপিকস গুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন :


* Introduce Yourself
*About your own subject
*Consistence between your subject & 1st Choice
*Reason behind your 1st three choices.
*About your own village /City/Town/District
★★*About Recent Issue(Home & Abroad)
*About the Great Liberation War
*About The Father of the Nation.
* Constitution( Only Important Article)
 *A brief history of Bangladesh (1940-2000)


২.
যাদের প্রথম পছন্দ প্রশাসন, তারা উপর্যুক্ত বিষয়ের পাশাপাশি নিচের বিষয় গুলোও দেখবেন :
*বাংলাদেশের লোক প্রশাসন, প্রশাসনের ক্রম বিকাশ এবং বর্তমান অবস্থা।
*সরকার, সরকারের বিভাগ
*ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরন নীতি, প্রশাসনের কেন্দ্রীকরন ও বিকেন্দ্রীকরণ।
*বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
*সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীসমূহ
*বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
*যুদ্ধাপরাধীর বিচার
৩.
যাদের প্রথম পছন্দ পররাষ্ট্র, তারা ১ ও ২ নম্বর পয়েন্ট গুলোর পাশাপাশি নিম্নের টার্মগুলোও দেখতে পারেন :
* আন্তর্জাতিক রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি
* আন্তর্জাতিক রাজনীতির গত ১০০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী (১৯০১--২০০০)
* নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা
* বিশ্বায়ন
* পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি
* G-7 ভুক্ত দেশ সমূহের তুলনামূলক রাজনীতি, সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি (রাশিয়া সহ দেখুন)
* E-11 ভুক্ত দেশ গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি
* উন্নত দেশ সমূহের বিশেষ করে Security Council এর সদস্য রাষ্ট্র (স্থায়ী) গুলোর সরকার ব্যবস্থার তুলনামূলক আলোচনা, বাংলাদেশে ঐ সব রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক। (ভারত সহ দেখুন)
*পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কার্যাবলী ও দায়িত্ব


 ★পররাষ্ট্র ছাড়া বাকি ক্যাডার যাদের প্রথম পছন্দ, তাদের ইংরেজিতে খুব একটা এক্সপার্ট হতে হয় না। তবে মোটামুটি সহজ এবং শুদ্ধ ভাবে বলতে পারলেই হবে।


 ★যাদের গলার স্বর খুব ক্ষীণ, তারা আরেকটু লাউড করুন। তবে খুব জোরে নয়।আয়নার সামনে দাড়িয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন। ফোনে রেকর্ড করে নিজেই শুনতে পারেন।
ভাইভা বোর্ডে প্রথম অনেক প্রশ্নের উত্তর না পারলেও, আমি শেষ প্রশ্ন পর্যন্ত স্বাভাবিক আর হাসিমুখে থাকব, আমি একটা ভালো ভাইভা দিবো। এ বিশ্বাসটুকু দারুণ কাজ করে। 
সবাই ভালো থাকুন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।


বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস এবং মানবন্টন



  
সর্বমোট--- ২০০ নম্বর


১) বাংলাঃ ৩৫
-> ভাষা - ১৫
-> সাহিত্য - ২০

২) ইংরেজিঃ ৩৫
-> ভাষা - ২০
-> সাহিত্য – ১৫


৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ ৩০
-> বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী - ০৬
-> বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ - ০৩
-> বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও আদমশুমারী - ০৩
-> বাংলাদেশের অর্থনীতি - ০৩
-> বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য - ০৩
-> বাংলাদেশের সংবিধান - ০৩
-> বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা- ০৩
-> বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা - ০৩
-> বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন ও অন্যান্য - ০৩


৪) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ ২০
-> সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ্ - ০৪
-> বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ভূরাজনীতি - ০৪
-> আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্টীয় ক্ষমতা সম্পর্ক - ০৪
-> আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও রাষ্টনীতি - ০৪
-> আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি - ০৪


৫) ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ ১০


৬) বিজ্ঞানঃ ১৫
-> ভৌত বিজ্ঞান -০৫
-> জীব বিজ্ঞান - ০৫
-> আধুনিক বিজ্ঞান - ০৫


৭) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ ১৫
-> কম্পিউটার - ১০
-> তথ্যপ্রযুক্তি - ০৫


৮) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতাঃ ৩০
গাণিতিক যুক্তিঃ ১৫
-> পাটিগণিত - ০৩
-> বীজগণিত - ০৬
-> জ্যামিতি - ০৩
-> পরিসংখ্যান ও অন্যান্য - ০৩


মানসিক দক্ষতাঃ ১৫


৯) নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসনঃ ১০


বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারের সংখ্যা


বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সংখ্যা ২৭টি।ক্যাডার গুলো হলঃ
১. বিসিএস(প্রশাসন)
২. বিসিএস (খাদ্য)
৩. বিসিএস (কৃষি)
৪. বিসিএস (বন)
৫. বিসিএস (মৎস্য)
৬. বিসিএস (পশুপালন)
৭. বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)
৮. বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা)
৯. বিসিএস (অর্থনীতি)
১০. বিসিএস (বাণিজ্য)
১১. বিসিএস (পরিসংখ্যান)
১২. বিসিএস (গণপূর্ত)
১৩. বিসিএস (জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল)
১৪. বিসিএস (সড়ক ও জনপথ)
১৫. বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব)
১৬. বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী)
১৭. বিসিএস (কর)
১৮. বিসিএস (পররাষ্ট্র বিষয়ক)
১৯. বিসিএস (স্বাস্থ্য)
২০. বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)
২১. বিসিএস (তথ্য)
২২. বিসিএস (ডাক)
২৩. বিসিএস (পুলিশ)
২৪. বিসিএস (আনসার)
২৫. বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)
২৬. বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
২৭. বিসিএস (সমবায়)


বিসিএস প্রস্তুতি: প্রিলির জন্য  যেভাবে এগিয়েছিলাম



প্রথমত একটা কথা বলতে চাই – “সাকসেস হ্যাজ নো শর্টকাট”, কেউ একজন এক সপ্তাহ পড়ে প্রিলিমিনারি পাশ করে গিয়েছেন এরকম গল্প অনেকের মুখে শুনলেও বাস্তবে সেই লোকটির সাক্ষাৎ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে হ্যাঁ, অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়েও যে কারো কারো সফলতা আসেনি তা কিন্তু না, কেননা প্রিলিটা যতখানি না প্রস্তুতির তার থেকেও কিছুটা বেশি আমি বলব যে ভাগ্যের প্রসন্নতা। যাই হোক কাজের কথায় চলে আসি। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে যে প্রস্তুতিগুলো আপনাদেরকে নিতে উৎসাহিত করবো তা হলো:

১। প্রশ্ন ব্যাংক সমাধান করা

এটি অবশ্যই করতে হবে, শুধু উত্তর না, ব্যাখ্যাসহ সবগুলো উত্তর ভালো করে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে আমি দুটি বই অনুসরণ করেছিলাম– অ্যাসিওরেন্স এবং প্রফেসর’স (২ বছরে ২টা কিনেছিলাম)। সমাধান করা প্রশ্নগুলো প্র্যাকটিস করার জন্য আমি প্লে স্টোর থেকে বিসিএস এর কিছু অ্যাপ্লিকেশন নামিয়ে রেখেছিলাম, অবসর সময়গুলোতে সেই অ্যাপগুলোতে পরীক্ষা দিতাম। যে উত্তরগুলো ভুল হতো সেগুলো বাসায় গিয়ে বই থেকে আবার ব্যাখ্যাসহ দেখে নিতাম।

২। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি

২-১। বাংলা

ক। ড. সৌমিত্র শেখরের “বাংলা প্রশ্নের টীকা-ভাষ্য” নামে একটা বই ছিলো। ১২০০ এর উপরে টিকা ছিলো ব্যাখ্যাসহ, যেটা শেষ করতে আমার সময় কম লেগেছিলো এবং শেষ করার পরে কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম নিজের মধ্যে। একটি কথা বলে রাখি এখানে, বই এর সাইজ যতো ছোটোই হোকনা কেনো, পুরো বই শেষ করতে পারার মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ইতিবাচকভাব কাজ করে, যা আমাকে অন্য আর একটি বই শেষ করার পেছনে অনুপ্রেরণা দিতো।

খ। সিলেবাস অনুযায়ী “৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা বোর্ড ব্যাকরণ” বইটি পড়েছি, এখানকার সব টপিক পড়তে হবে না, শুধু যে টপিকগুলো থেকে আগের বছরগুলোতে প্রশ্ন হয়েছে সেগুলো দেখলেই হবে।

গ। মহসিনা নাজিলার “শীকর বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য” বইটি এখন ভালো করেছে, সৌমিত্র শেখরের টিকা ভাষ্য-এর থেকে এটি কলেবরে বড়, তবে অনেক তথ্যবহুল এবং সহজে পাঠ উপযোগী একটি বই।

২-২। ইংরেজি

ক। “English for Competitive Exam”- এটি থেকে ভালো বই পাওয়া কষ্টকর ছিলো, কিন্তু বইটি অনেক বড়, শেষ করার মতো সুযোগ হয়ে উঠেনি, তবে এর থেকে বেছে বেছে অনেকগুলো টপিকস পড়েছি, যেগুলো বেশ উপকারে দিয়েছে।

খ। “A Handbook on English Literature” এবং “An Easy Approach to English Literature For BCS Preliminary” বই দুটো ইতিহাস অংশের জন্য খুবই ভালো কাজে দিয়েছে, তবে কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে আপডেটেড প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যাসহ উত্তর দেওয়া আছে কী না।

২-৩। দৈনন্দিন বিজ্ঞান

আমি মূলত “MP3 দৈনন্দিন বিজ্ঞান” বইটিই পড়েছি তবে ইউটিউবের বিজ্ঞানের বেশকিছু ভিডিও আছে যেগুলো আমাকে সাহায্য করেছিলো। পড়তে পড়তে যখন বিরক্ত লাগতো তখন একটি-দুটি গান শোনা বা সেগুলোর ভিডিও দেখার পর এই ভিডিওগুলো দেখতাম, বিশ্রামও হতো আবার পড়াও হয়ে যেতো, তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে তথ্যের ভুলের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে।

২-৪। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি

বিএসসি টা সিএসই-তে হওয়াতে এটি আমার জন্য কিছুটা সহজ ছিলো, তবে এক্ষেত্রে MP3 এর কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বইটি পড়েছি।

২-৫। মানসিক দক্ষতা

প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য একবারেই কাজে দেয় এই বইগুলো। আমি অ্যাসিওরেন্স মানসিক দক্ষতা বইটি পড়েছি, তবে এক্ষেত্রে যারা আগে ডিফেন্সের আই.এস.এস.বি-এর প্রথম দিনটি পার করেছেন, তারা খুব সহজেই আগের প্রস্তুতি দিয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারবেন, তা নাহলেও খুব একটা সমস্যা হবে না, এই বিষয়টা তুলনামূলক সহজ এবং একটু মাথা খাটিয়ে পড়লে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

২-৬। অংক

ক। “MP3 Math Review” বইটা পড়েছি

খ। নীলক্ষেতে কিছু ম্যাথ শর্টকাটের বই খুঁজে পেয়েছিলাম, যেটা তাড়াতাড়ি উত্তর খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে, তবে এ মুহূর্তে নামগুলো ঠিক মনে পড়ছে না।

গ। রবি ১০ মিনিট স্কুলস এর ম্যাথ টিপিস ভিডিওগুলো অবসরে অবশ্যই দেখবেন, এগুলো আমার বেশ কাজে দিয়েছিলো।

বলে রাখা ভালো, যারা ম্যাথে দুর্বল, শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে কখনই আগে ম্যাথে হাত দিয়ে নিজেকে হতাশ করবেন না।

২-৭। বাংলাদেশ

ক। MP3 বাংলাদেশ বইটা পড়েছিলাম

খ। প্রতিদিন একটি খবরের কাগজে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক এই দুটো বিভাগ পড়তে পারলে তা আপনাকে প্রিলি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে উপকার দেবে।

২-৮। আন্তর্জাতিক

ক। MP3 আন্তর্জাতিক বইটা পড়েছিলাম

খ। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছে এই দিকটা সব সময়ই বিপদের, এজন্য বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক এই দুটোর জন্য আর একটা কাজ আমি করতাম। মডেল টেস্টের তিনটি বই আমার ছিলো, সেগুলোতে এই সেকশনের প্রশ্নগুলো বারবার দেখতাম।

২-৯। ভূগোল: অ্যাসিওরেন্স

২-১০। নৈতিকতা: অ্যাসিওরেন্স

৩। নিজেকে যাচাই করা

ক। ৩৭-এর প্রস্তুতির শুরু থেকেই আমি চেষ্টা করতাম সপ্তাহে ৩/৪ টা মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের প্রস্তুতিটা যাচাই করার, এক্ষেত্রে আমি শুধু সঠিক দাগানোর অভ্যাস করতাম, শুরুতে যেটা ২৫-৩০ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেটা শেষ পর্যন্ত ১৪০-১৫০ সঠিক দাগানোতে আনতে পেরেছিলাম।

খ। প্রিলির একমাস আগে থেকে প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিটে একটা করে মডেল টেস্ট দিতাম। আমার তিনটা বই ছিলো অ্যাসিওরেন্স, প্রফেসর’স, জ্ঞানদ্বিপ এর।

এছাড়াও, ডাইজেস্ট ছিলো অ্যাসিওরেন্স-এর। তবে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে- “প্রফেসর'স এর বিশেষ সংখ্যাটা” শেষ করেছিলাম, খুবই সহায়ক ছিলো বইটা।

আমার ব্যাপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর

১। এটি আমার তৃতীয় প্রিলি পরীক্ষা ছিলো – ৩৫, ৩৬, ৩৭ (শুধুমাত্র এটাতেই পাশ করেছি)

২। প্রিলির জন্য কোন কোচিং করতে পারিনি, সুযোগ থাকলে হয়ত করতাম, তবে লিখিত পরীক্ষার জন্য কোচিং করেছিলাম।

৩। ২০০৯ থেকে চাকরি করছি, তাই এটি ছেড়ে দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার মতো ইচ্ছা থাকলেও, আর্থিক টানাপোড়ন দেখা দিলে মানসিকভাবে চাপে পড়ে যেতে পারি ভেবে আর সে পথে আগাইনি। তবে হ্যাঁ ৩৭ মাসের দীর্ঘ পথ চলার মধ্যে মানসিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটে থাকে। তাই চাকরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতে পাড়লে সেটি সব থেকে উত্তম (যদি চাকরির পরিবেশটা ভালো হয় তবে)।

৪। বিসিএস এর জন্য যেভাবে পড়তাম

ক। ৯-৬ টা অফিসের পর বাসায় এসে (বাসা অফিসের খুব কাছে ছিলো) দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিয়ে রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করতাম। একদিন ২ ঘণ্টা, অন্যদিন ৮ ঘণ্টা এভাবে পড়াটা আমার পছন্দ ছিলো না, সবাইকে আমি এটাই বলি যেটাই করবেন একইভাবে চালিয়ে যাবেন (অন্তত ৩ থেকে ৪ মাস), তাহলে অবশ্যই সেটির ইতিবাচক ফলাফল আপনি দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

খ। কালো কালির বই লাল বা নীল কালির কলম অথবা হাইলাইটার দিয়ে মার্ক করে রাখতাম

গ। একই টপিকস টানা না পড়ে, প্রতি সাবজেক্টের সর্বাধিক ১৫-২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তাম একটানা – উল্লেখ্য, মুখস্থবিদ্যায় আমি খুব ভালো না হওয়ার কারণে আমি মুখস্থ করবার জন্য ব্রেনের উপর চাপ না দিয়ে, যে বিষয়গুলো মনে রাখতে কষ্ট হতো সেগুলো ২/৩ দিন পরপরই রিডিং পড়ার মতো করে দেখতাম, সব না, শুধুমাত্র হাইলাইট করা অংশগুলো।

ঘ। বিজ্ঞান এবং সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ার কারণে – বিজ্ঞান, আইসিটি, অংক, মানসিক দক্ষতা এগুলোর নম্বর যতোটা বাড়ানো যায় সে লক্ষ্য আমার সবসময় ছিলো। এখানে একটা ব্যাপার আছে, পুরনো প্রশ্নগুলো এক্সাটলি রিপিট না হলেও সেম প্যার্টানের প্রশ্ন অনেক আসে, এছাড়াও ঐ বছরের বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে প্রশ্নগুলোর অনেক মিল পাওয়া যায় (বিষয়টা কাকতালীয় না, আমার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এমন মিল খুঁজে পেয়েছি)।

ঙ। শেষ যে কাজটা আমি করতাম তা হলো – ৩৫ এর পর কোন প্রিলিই আমি ঢাকাতে দিতাম না। কেননা, খুলনায় আমাদের বাসা, সেখানকার সুবিধাগুলো হলো সেখানে যানজট নেই। হলের পরিবেশ যথেষ্ট ফ্রেন্ডলি পেয়েছি। আর লিখিত পরীক্ষা বিগত ৪/৫ টা বিসিএস একই সেন্টারে হচ্ছে। যেটি আমার বাসা থেকে ১০ মিনিটের পথ মাত্র। যাদের যানজট এড়ানোর এই সুযোগটা রয়েছে তারা তা অবশ্যই নিতে পারেন।

পরিশেষে এটিই বলব, বিসিএস একটি স্বপ্নের নাম, এই চলার পথটা যেমন অনেক দীর্ঘ, তেমনি এই পথে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে অনেক, আপনার পথের প্রতিবন্ধকতাগুলোকে আপনার নিজের কৌশলেই অতিক্রম করতে হবে, অন্যের দেখানো পথটিই যে আপনাকে অনুসরণ করে চলতে হবে ব্যাপারটি কখনই এমন নয়, বরং আমি মনে করি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শেষ গন্তব্যে পৌঁছানো যাদের একমাত্র লক্ষ্য তারা নিজেরাই তাদের কৌশল ঠিক বের করে নিতে পারেন।

লেখক: মো. মাসুদুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৭ তম বিসিএস

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url