PHARMACY SUBJECT REVIEW || ফার্মেসি সাবজেক্ট রিভিউ

PHARMACY SUBJECT REVIEW

আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু 

আজ কথা বলবো ফার্মেসি (Pharmacy) সাবজেক্টটি নিয়ে । ভার্সিটিতে ভর্তির আগে সাবজেক্টগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী । তাই আমরা সকল সাবজেক্ট এর রিভিউ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাহলে শুরু করা যাক Pharmacy Subject Review ...

ফার্মেসি সাবজেক্ট - এ কি নিয়ে পড়ানো হয় ? 

ফার্মেসী সাব্জেক্ট টা হলো ওষুধ নিয়ে পড়াশোনা।
ফার্মেসী স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা যা
মূলত রসায়নের সাথে জীববিজ্ঞানের একটি
যোগসূত্র হিসাবে কাজ করে। মুলত ঔষধ ও কসমেটিকসের প্রস্তুতি, ব্যবহার এদের নিরাপদ ও সঠিক বিতরণ ও পরিবেশন(Dispensing) ইত্যাদি সবই এর আলোচ্য বিষয়।

ফার্মাসিস্ট কে এবং তার কাজ কি ?

আধুনিক যুগের ফার্মাসিস্টদের কাজ হচ্ছে ঔষধ উৎপাদন ও সংরক্ষণ,ঔষধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য
বিতরণ, এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সঠিক
চিকিৎসাগত প্রয়োগ ইত্যাদি। অতঃপর একজন
ফার্মাসিস্ট হলেন সেই ব্যক্তি যে এই সকল বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

ফার্মেসি এর শাখা 

ফার্মেসী এর প্রধান শাখা গুলো হলো-
১- হসপিটালিটি /ক্লিনিকাল ফার্মেসী
২- ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফার্মেসী
৩- কমিউনিটি ফার্মেসী
৫-নিউক্লিয়ার ফার্মেসী
৬- অনলাইন ফার্মেসী
৭- ভেটেরিনারি ফার্মেসী

ফার্মেসি শিক্ষার ডিগ্রিসমূহ-
             ১.ডি ফার্ম(ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি)
             ২.বি ফার্ম(ব্যাচেলর অব ফার্মেসি)
             ৩.এম ফার্ম(মাস্টার অব ফার্মেসি)
             ৪.ফার্ম ডি(ডক্টর অব ফার্মেসি)

কি কি পড়ানো হয় এই সাবজেক্টে?
ফার্মেসিতে যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে-
১.রসায়ন (Inorganic / Organic / Physical  / Analytical / Medicinal / Chemistry),
২.মানবদেহ ( Physiology / Anatomy),  ৩.ওষুধবিদ্যা(Pharmacognosy / Pharmacology / Pharmaceutical technology / Quality control / Pharmaceutical  Engg / Bio pharmaceutics),
৪.লাইফ সাইন্স এর অন্যান্য বিষয় (Microbiology / Biochemistry / Biotechnology) ও
৫.Hospital pharmacy / Clinical pharmacy, ৭.Statistics সহ আরও কিছু বিষয়।
জব সেক্টরঃ
১.পেশা গ্রহনের সুযোগ(Careeer Opportunity) :ফার্মেসি বিষয়ের উপর  নির্দিষ্ট ডিগ্রী অর্জনের পর একজন ফার্মেসিস্ট হিসেবে আপনি স্বাস্থ্যসেবার বিস্তৃত ক্ষেত্র যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক,ফার্মেসি শিল্প (Pharmaceutical Industry),  নার্সিং হোম,শিক্ষকতা প্রভৃতি বিষয়ে ক্যারিয়ার উন্নত করতে পারবেন।
২.কমিউনিটি ফার্মেসি (Community Pharmacy)
৩.হসপিটাল ফার্মেসি(Hospital Pharmacy) :এক্ষেত্রে একজন  ফার্মাসিস্ট  একজন ডাক্তারের মতো সরাসরি রোগীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত হন।
৪.ম্যানেজড কেয়ার ফার্মেসি (Managed Care Pharmacy) :ম্যানেজড কেয়ার বলতে স্বাস্হ্যসেবার এমন একটি পদ্ধতিকে বোঝায় যা কিনা স্বাস্থ্যসেবার মূল্যমান কমিয়ে আনবে কিন্তু স্বাস্হ্যসেবার গুণগত মানকে করবে আরো উন্নত।
৫.ফার্মেসি শিল্প(Pharmaceutical Industry) :বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের পরে  ফার্মেসি শিল্পের অবদান অপরিহার্য। 250+টির মতো ঔষধ শিল্পে জব পাওয়া বেশি কঠিন নয়।আপনি খুব সহজে জব পেতে পারেন।
৬.একাডেমিক ফার্মেসি (Academic Pharmacy) :এক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টগণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকে। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া খুব একটা কঠিন বিষয় নয়।
৭.অনলাইনে ফার্মেসি (Online Pharmacy) :এই খাতের আরেকটা নাম হল ইন্টারনেট ফার্মেসি। ফার্মাসিস্টগণ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে  গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে।
৮.নিউক্লিয়ার ফার্মেসি (Nuclear Pharmacy) :এ ধরনের ফার্মাসিস্টগণ বিভিন্ন জটিল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় দ্রব্যের ব্যবহার করে থাকেন।
৯.কম্পাউন্ডিং ফার্মেসি (Compounding Pharmacy) :এই ধরনের ফার্মাসিস্টগণ একটি আবিষ্কৃত ড্রাগ এর বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীন গঠন পরিবর্তনের পেশায় নিয়োজিত হন।
১০.ভেটেনারি ফার্মেসি (Veterinary Pharmacy) :এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফার্মাসিস্টগণ পশুস্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।

আমাদের দেশের ফার্মাসিস্ট দের মূল কাজ
হলো indrustry তে। আমাদের দেশে প্রায় ৩০০+ অনুমোদিত ওষুধ
কোম্পানি আছে। যারা আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বাইরে ওষুধ রপ্তানি করছে।
মোট কথা এদেশ ওষুধ এ সয়ংসম্পূর্ণ। এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট,প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট
ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা,
গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ
তো আছেই।
হসপিটালিটি ফার্মেসী নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়া দরকার
• ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা আনুষাঙ্গিক সংগ্রহ,
সংরক্ষন, প্রস্তুত এবং ওষুধের প্রয়োগ।
• স্টক নিয়ন্ত্রণ, স্টোরেজ, অর্ডার দেয়া ,লেবেল
লাগানো এবং আর্থিক বাজেট স্থাপনের দায়িত্ব
গ্রহণ এবং ডিসপেন্সারীর হিসাবরক্ষন।
• ওষুধ সরবরাহ এবং ওষুধের প্রয়োগ যথাযথ ফর্ম
নিয়ে আলোচনা করার জন্য রোগী, ডাক্তারএবং
নার্সদের সাথে সাক্ষাৎ করা।
✅ অনেকেরই ধারণা, ফার্মাসি পড়লে শুধু ওষুধশিল্পে কাজ করতে হয়। এর বাইরেও তাঁদের জন্য কাজের নানা ক্ষেত্র রয়েছে। ফার্মাসিস্টদের কাজ শুধু ওষুধ কোম্পানিগুলোতে নয়, ওটা তাঁদের কয়েকটি কাজের জায়গার মাত্র একটি। এর বাইরে তাঁদের সরকারি নানা দফতর, সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, কমিউনিটি ফার্মাসি,
শিক্ষকতা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্র।
✅ ফার্মাসিস্ট বা ওষুধ বিশেষজ্ঞ হলেন এমন এক
ব্যক্তি যিনি ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন
করেছেন এবং বিধিবদ্ধ সংস্থা বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে ফার্মেসি পেশা চর্চার জন্য নিবন্ধন
পেয়েছেন। দেশের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার,নার্সদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট থাকার কথা
থাকলেও স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমরা এ সংস্কৃতিটা চালু করতে পারিনি।
উন্নত বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে সম্পাদন
করেন ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট ও নার্স। তাই স্বাস্থ্যবিজ্ঞান   ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এদেশের ফার্মেসি সেবার মান বাড়ানো অতীব জরুরি। তা না হলে স্বাস্থ্যসেবা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাবে না।
এ দেশের হাসপাতালগুলোতে ফার্মেসি সেবা ব
বাজার থেকে ওষুধ সংগ্রহ করা এবং ব্যবস্থাপত্র
অনুযায়ী রোগীর কাছে হস্তান্তর করা। এটা খুবই আনন্দদায়ক ও আশার বিষয় যে এদেশের
বেসরকারি হাসপাতাল, যেমন স্কয়ার, ইউনাইটেড,
অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই উন্নত
মানের ফার্মেসি সেবা দানের জন্য ফার্মাসিস্ট নিয়োগ
করছে।
✅ ফার্মেসী পড়ো, আমেরিকাতে উড়ো....
কিন্তু এখন বি.ফার্ম করে আমেরিকাতে যাওয়া যায়না।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশে
এই ডিগ্রি টা এখনো চালু হয় নাই।
ঢাবি, জাবি এবং এন এস ইউ এটা খুলতে চাইলেও
ইউসিজি তাদের অনুমুদন দেয় নাই।এখন এইগুলাতে ৫ বছরের বি.ফার্ম প্রোফেশনাল নামের একটা আলাদা ক্লিনিকাল ফার্মেসী চালু আছে যা দিয়ে America তে NAPLEX. exam এ অংশগ্রহণ করা যায়।


আজ তাহলে  এই পর্যন্তই । তোমাদের মতামতের জন্য কমেন্টবক্স খোলা থাকলো ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url