এক কথায় প্রকাশ বা বাক্যসংকোচন
এক কথায় প্রকাশ কাকে বলে ? বাকি সংকোচন কাকে বলে ?
একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে ।
অর্থাৎ একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে ।
যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ
এখানে হীরকরাজ- শব্দের মাধ্যমে হীরক দেশের রাজা- এই তিনটি পদের অর্থই সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে । এই তিনটি পদ একত্রে একটি বাক্যাংশ বা উপবাক্যও বটে । অর্থাৎ, হীরক দেশের রাজা- তিনটি পদ বা বাক্যাংশটির বাক্য সংকোচন হল- হীরকরাজ ।
এক কথায় প্রকাশ
অ
অকালে পক্ব হয়েছে যা—অকালপক্ব।
অক্ষির অগোচরে—পরোক্ষ।
অক্ষির সম্মুখে—প্রত্যক্ষ।
অগ্রে গমন করে যে—অগ্রগামী।
অতি দীর্ঘ নয়—নাতিদীর্ঘ।
অতি শীতলও নয় অতি উষ্ণও নয়—নাতিশীতোষ্ণ।
অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে যে—অগ্রজ।
অনেক কষ্টে ভিক্ষা পাওয়া যায় যখন—দুর্ভিক্ষ।
অনেকের মধ্যে একজন—অন্যতম।
অনুসন্ধান করার ইচ্ছা— অনুসন্ধিৎসা।
পশ্চাতে গমন করে যে—অনুগামী।
অবশ্যই যা ঘটবে—অবশ্যম্ভাবী।
অভিজ্ঞতার অভাব যার— অনভিজ্ঞ।
অহংকার করে যে—অহংকারী।
অহংকার নেই এমন—নিরহংকার।
অল্প ব্যয় করে যে—মিতব্যয়ী।
অন্বেষণ করার ইচ্ছা — অন্বেষা।
অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব ।
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ ।
অগ্রে গমন করে যে—অগ্রগামী ।
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ ।
অহংকার নেই যার- নিরহংকার ।
অহংকার করে যে—অহংকারী ।
অশ্বের ডাক- হ্রেষা ।
অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি- দক্ষ ।
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা- অনুসন্ধিৎসা ।
অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে- অনুসন্ধিৎসু ।
অপকার করবার ইচ্ছা- অপচিকীর্ষা ।
পশ্চাতে গমন করে যে—অনুগামী ।
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃষ্যকারী ।
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয়- নাতিশীতোষ্ণ ।
অবশ্য হবে/ঘটবে যা- অবশ্যম্ভাবী ।
অতি দীর্ঘ নয় যা- নাতিদীর্ঘ ।
অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রম্য ।
অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রমনীয় ।
অনেক কষ্টে ভিক্ষা পাওয়া যায় যখন—দুর্ভিক্ষ ।
অগ্রে জন্মেছে যে- অগ্রজ ।
অনুতে/পশ্চাতে/পরে জন্মেছে যে- অনুজ ।
অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম ।
অন্য উপায় নেই যার- অনন্যোপায় ।
অনেকের মাঝে একজন- অন্যতম ।
অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা ।
আ
আচারে নিষ্ঠা আছে যার- আচারনিষ্ঠ ।
আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা যার- আত্মকেন্দ্রীক ।
আকাশে চরে যে- খেচর ।
আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ ।
আট প্রহর যা পরা যায়- আটপৌরে ।
আপনার রং লুকায় যে/যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা ।
আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী ।
আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতম্মন্য।
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত ।
আকাশ ও পৃথিবী — ক্রন্দসী।
আলো ছড়ায় যে পাখি — আলোর পাখি।
আলাপ করতে তৎপর — আলাপী।
আলোচনার বিষয়বস্তু — আলোচ্য।
আপনাকে ভুলে থাকে যে — আপনভোলা।
আঠা যুক্ত আছে যাতে — আঠালো।
আকাশ পথে যে যান ব্যবহার করা যায়—নভোযান।
আচারে নিষ্ঠা আছে যার— আচারনিষ্ঠ।
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত—আদ্যন্ত।
আপনার বর্ণ লুকায় যে— বর্ণচোরা।
আমিষের অভাব—নিরামিষ।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার— আস্তিক।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার— নাস্তিক।
আকাশে ওড়ে যে—খেচর।
ই
ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক
ইতিহাস বিষয়ে অভিঞ্জ যিনি- ইতিহাসবেত্তা
ইতিহাস জানেন যিনি— ইতিহাসবেত্তা।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে—জিতেন্দ্রিয়।
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ ।
ঈ
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক ।
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক ।
ঈষৎ আমিষ/আঁষ গন্ধ যার- আঁষটে ।
উ
উপকার করবার ইচ্ছা- উপচিকীর্ষা ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ ।
উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন ।
উদ্দাম নৃত্য — তাণ্ডব।
উপায় নেই যার—নিরুপায়।
উপকার করেন যিনি—উপকারক।
উপকারীর উপকার স্বীকার করা— কৃতজ্ঞতা ।
এ
একই সময়ে বর্তমান- সমসাময়িক ।
একই মায়ের সন্তান- সহোদর ।
এক থেকে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে ।
একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ ।
একই বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট— একাগ্রচিত্ত।
একই সময়ে—যুগপৎ।
একই মাতার উদরে জন্ম যাদের— সহোদর।
ত্রি (তিন) ফলের সমাহার—ত্রিফলা।
স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ ।
ক
কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয় ।
কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য ।
কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয় ।
কউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে ।
কল্পনা করা যায় না এমন— অকল্পনীয়।
কণ্ঠ পর্যন্ত—আকণ্ঠ।
কম কথা বলে যে—মিতভাষী।
কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ
কষ্টে গমন করা যায় যেখানে—দুর্গম।
কষ্টে নিবারণ করা যায় যা- দুর্নিবার
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু—বন্ধুর।
কী করতে হবে তা বুঝতে না পারা—কিংকর্তব্যবিমূঢ়
কূলের সমীপে—উপকূল।
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী—কর্মঠ।
কল্পনা করা যায় না এমন—অকল্পনীয়।
কোকিলের স্বর—কুহু।
খ
খাবার যোগ্য—খাদ্য।
খ্যাতি আছে যার—খ্যাতিমান।
খাওয়ার ইচ্ছা—ক্ষুধা।
খাদ নেই যাতে — নিখাদ।
ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ।
ক্ষণকালের জন্য স্থায়ী—ক্ষণস্থায়ী।
গ-ঘ
গোপন করার ইচ্ছা- জুগুপ্সা ।
গরু রাখার স্থান — গোহাল।
গরুর ডাক—হাম্বা।
গরু চরায় যে — রাখাল।
গাভির ডাক — হাম্বা।
ঘোড়ার ডাক—হ্রেষা।
চ
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত- চাক্ষুষ ।
চোখে যার লজ্জা নেই— চশমখোর।
চালচলনের উৎকর্ষ — সভ্যতা।
চিত্রকর্মের কাঠামো — নকশা।
চিরদিন মনে রাখার যোগ্য—চিরস্মরণীয়।
চৈত্র মাসের ফসল- চৈতালি ।
জ
জয়ের জন্য যে উৎসব—জয়োৎসব।
জানার ইচ্ছা- জিজ্ঞাসা ।
জানতে ইচ্ছুক- জিজ্ঞাসু ।
জ্বল জ্বল করছে যা- জাজ্বল্যমান ।
জয় করার ইচ্ছা- জিগীষা ।
জয় করতে ইচ্ছুক- জিগীষু ।
জানু পর্যন্ত লম্বিত- আজানুলম্বিত ।
জন্ম থেকে আরম্ভ করে—আজন্ম।
জানা আছে যা—জ্ঞাত।
জানা নেই যা—অজ্ঞাত।
জলে ও স্থলে চরে যে—উভচর।
জায়া ও পতি—দম্পতি।
জীবন পর্যন্ত—আজীবন।
জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত ।
জনশূন্য স্থান — নির্জন।
ড-ত
ডালের আগা—মগডাল।
ঢেউয়ের ধ্বনি — কল্লোল।
তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী ।
তীর ছোঁড়ে যে- তীরন্দাজ ।
তুলনা হয় না এমন—অতুলনীয়।
তিন রাস্তার মোড়—তেমাথা।
তাল ঠিক নেই যার—বেতাল।
ত্রি (তিন) ফলের সমাহার—ত্রিফলা।
দ
দিনে যে একবার আহার করে- একাহারী ।
দীপ্তি পাচ্ছে যা- দীপ্যমান ।
দু’বার জন্মে যে- দ্বিজ ।
দমন করা যায় না এমন—অদম্য।
দিনের মধ্যভাগ—মধ্যাহ্ন।
দিনে যে একবার আহার করে—একাহারী।
দিবসের প্রথম ভাগ—পূর্বাহ্ন।
দিবসের শেষ ভাগ—অপরাহ্ন।
দূরে দেখে না যে—অদূরদর্শী।
ন
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর ।
নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা ।
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক ।
নিজেকে যে বড়ো মনে করে- হামবড়া ।
নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ ।
নষ্ট হয় যা—নশ্বর।
নিশাকালে চরে বেড়ায় যে—নিশাচর।
নদীমাতা যার—নদীমাতৃক।
নূপুরের শব্দ—নিক্বণ।
নতুন কিছু তৈরি করা—উদ্ভাবন।
নিজের অধিকার—স্বাধিকার।
নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসের গাদা—আবর্জনা।
নিজের ইচ্ছায়—স্বেচ্ছায়।
প
পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক ।
পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে- জাতিস্মর ।
পান করার যোগ্য- পেয় ।
পান করার ইচ্ছা- পিপাসা ।
পরের অধীন—পরাধীন।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত—আপাদমস্তক।
পরিহার করা যায় না এমন—অপরিহার্য।
পান করার যোগ্য—পেয়।
পাখির কলরব—কূজন।
পান করার ইচ্ছা—পিপাসা।
পা হতে মাথা পর্যন্ত—আপাদমস্তক।
পেছনে সরে যাওয়া—পশ্চাদপসরণ।
পুবের বাতাস — পুবালি।
পুরুষানুক্রমিক — ঐতিহ্য।
পুতুল পূজা করে যে — পৌত্তলিক।
প্রহরা দেয় যে—প্রহরী।
প্রতিভা আছে যার—প্রতিভাবান।
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী- প্রিয়ংবদা ।
প্রাণ আছে যার—প্রাণী।
প্রাচীন ইতিহাস — প্রত্নতাত্ত্বিক।
প্রাণিদেহ থেকে লব্ধ — প্রাণিজ।
ফ
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়—ওষধি।
ফুল হতে জাত — ফুলেল।
ব
বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ ।
বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ ।
বরণ করার যোগ্য—বরণীয়।
বনে বাস করে যে — বনবাসী।
বড় গ্রহকে ঘিরে যে ছোট গ্রহ ঘোরে—উপগ্রহ।
বাঘের ডাক—গর্জন।
ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ ।
বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক ।
বেশি কথা বলে যে—বাচাল।
বেঁচে আছে এমন—জীবিত।
বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী ।
বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন ।
বিশ্বের যে নবী — বিশ্বনবী।
বিদেশে থাকে যে — প্রবাসী।
বিলম্বে নয় এমন — অবিলম্বে।
বিনা অপরাধে সংঘটিত হত্যা — গণহত্যা
বিচিত্রতায় পূর্ণ যা — বৈচিত্র্যপূর্ণ।
বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি- বৈজ্ঞানিক
বিচার নেই এমন—অবিচার্য।
বিনা পয়সায়—মুফত/মাগনা।
বিভিন্ন জাতি সম্পর্কীয়—বহুজাতিক।
বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ—বীরশ্রেষ্ঠ।
ভ
ভয় নেই যার—নির্ভীক।
ভিক্ষার অভাব—দুর্ভিক্ষ।
ভাষা সম্পর্কে যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন — ভাষাবিদ।
ভোজন করতে ইচ্ছুক—বুভুক্ষু।
ভাবা যায় না এমন—অভাবনীয়।
ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা ।
ভ্রমরের গান—গুঞ্জন।
ম
মধুর ধ্বনি—মধুরা।
ময়ূরের ডাক—কেকা।
মন হরণ করে যা- মনোহর ।
মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী ।
মরণ পর্যন্ত—আমরণ।
মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গবিশেষ — মৌমাছি।
মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ ।
মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ ।
মায়ের মতো যে ভূমি—মাতৃভূমি।
মাটির তৈরি শিল্পকর্ম — মৃৎশিল্প।
মিষ্টি কথা বলে যে—মিষ্টভাষী।
মেধা আছে যার—মেধাবী।
মৃতের মতো অবস্থা—মুমূর্ষু।
মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু।
মুক্তি কামনা করে যে — মুক্তিকামী।
মৃত্তিকা দিয়ে নির্মিত — মৃন্ময়।
মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয় ।
মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময় ।
মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড় ।
য
যে গাছ অন্য গাছের ওপর জন্মে— পরগাছা।
যে নারীর পুত্রসন্তান হয়নি—অপুত্রক।
যে পরিণাম বোঝে না— অপরিণামদর্শী।
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না—বনস্পতি।
যে জামাই শ্বশুরবাড়ি থাকে— ঘরজামাই।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি—অনূঢ়া।
যে পরে জন্মগ্রহণ করেছে—অনুজ।
যে জমিতে দুবার ফসল হয়—দো-ফসলা।
যে সংবাদ বহন করে—সাংবাদিক।
যে অত্যাচার করে—অত্যাচারী।
যে শব্দ বাধা পেয়ে ফিরে আসে— প্রতিধ্বনি।
যে অন্যের অধীন নয়—স্বাধীন।
যে নৌকা চালায়—মাঝি।
যেখানে লোকজন বাস করে— লোকালয়।
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে —কৃতজ্ঞ।
যে হিংসা করে—হিংসক।
যে উপকারীর অপকার করে—কৃতঘ্ন।
যে বিদেশে থাকে—প্রবাসী।
যে আকাশে চরে—খেচর।
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ ।
যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর ।
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু ।
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা ।
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি ।
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে ।
যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা ।
যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা ।
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা ।
যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার ।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া ।
যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা) ।
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী ।
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী ।
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী ।
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল ।
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা ।
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ ।
যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা ।
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা ।
যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা ।
যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক ।
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা) ।
যে বৃক্ষের ফুল না হলেও ফল হয় — বনস্পতি।
যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত ।
যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ ।
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা ।
যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা ।
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া ।
যা মর্ম স্পর্শ করে—মর্মস্পর্শী।
যা সহজে লাভ করা যায়—সুলভ।
যা সহজে ভেঙে যায়—ভঙ্গুর।
যা বালকের মধ্যেই সুলভ—বালসুলভ।
যা লাফিয়ে চলে—প্লবগ।
যা বুকে হাঁটে—সরীসৃপ।
যা বলার যোগ্য নয়—অকথ্য।
যা চুষে খাওয়া যায়—চুষ্য ।
যা জলে জন্মে—জলজ।
যা দেখা যাচ্ছে—দৃশ্যমান।
যা পূর্বে ছিল এখন নেই—ভূতপূর্ব।
যা একইভাবে চলে —গতানুগতিক।
যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না— অবর্ণনীয়।
যা কষ্ট করে জয় করা যায়— দুর্জয়।
যা হবেই/হইবে—ভাবী।
যা সহজে দমন করা যায় না— দুর্দমনীয়।
যা মাটি ভেদ করে ওঠে—উদ্ভিদ।
যা ফুরায় না—অফুরান।
যা জলে চরে—জলচর।
যা কষ্টে লাভ করা যায়—দুর্লভ।
যা পূর্বে ঘটেনি—অভূতপূর্ব।
যা বনে চরে — বনচর।
যা সহজেই ভেঙে যায় — ঠুনকো।
যা দমন করা যায় না- অদম্য।
যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয়।
যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার।
যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব ।
যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ ।
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ ।
যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত ।
যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান ।
যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান ।
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ ।
যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব ।
যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয় ।
যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ ।
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত ।
যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয় ।
যা জলে চরে- জলচর ।
যা স্থলে চরে- স্থলচর ।
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য ।
যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর ।
যা বলা হয় নি- অনুক্ত ।
যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর ।
যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী ।
যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য ।
যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য ।
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর ।
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল ।
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ ।
যা আঘাত পায় নি- অনাহত ।
যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান ।
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু ।
যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব ।
যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর ।
যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য ।
যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য ।
যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য ।
যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য ।
যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য ।
যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয় ।
যা পানের অযোগ্য- অপেয় ।
যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত ।
যা বলা হয়েছে- উক্ত ।
যার তল স্পর্শ করা যায় না— অতলস্পর্শী।
যার বিশেষ খ্যাতি আছে—বিখ্যাত।
যার নাম কেউ জানে না— অজ্ঞাতনামা।
যার পত্নী গত হয়েছে—বিপত্মীক।
যার ভাতের অভাব—হাভাতে।
যার মমতা নেই—নির্মম।
যার তুলনা হয় না—অতুলনীয়।
যার সীমা নেই—অসীম।
যার তুলনা নেই—অতুলনীয়।
যার অন্ত নেই—অন্তহীন।
যার শত্রু জন্মায়নি—অজাতশত্রু।
যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত ।
যার কোনো কিছুতে ভয় নেই—অকুতোভয়।
যার অন্য উপায় নেই—অনন্যোপায়।
যার কাজ করার শক্তি আছে—সক্ষম।
যার আকার নেই—নিরাকার।
যার পীড়া হয়েছে—পীড়িত।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে—প্রত্যুৎপন্নমতি।
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল ।
যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায় ।
যার কোন উপায় নেই- নিরুপায় ।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি ।
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব ।
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয় ।
যার আকার কুৎসিত- কদাকার ।
যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু ।
যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু ।
যার কিছু নেই- অকিঞ্চন ।
যিনি অধিক ব্যয় করেন না—মিতব্যয়ী।
যিনি শিক্ষা দান করেন—শিক্ষক।
যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন—বিশেষজ্ঞ।
যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী ।
র-ল
রোগনাশক গাছগাছড়া — ভেষজ।
রুপার মতো — রুপালি।
লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা ।
শ
শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম ।
শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন ।
শিক্ষা করছে যে — শিক্ষানবিশ।
শত্রুকে দমন করে যে—অরিন্দম।
শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা ।
শুকনো পাতার শব্দ—মর্মর।
শৈশবকাল অবধি—আশৈশব।
স
সহজে নিবারণ করা যায় না যা- দুর্নিবার ।
সহজে লাভ করা যায় না যা- দুর্লভ ।
সকলের জন্য প্রযোজ্য—সর্বজনীন।
সমুদ্র পর্যন্ত—আসমুদ্র।
সমস্ত পৃথিবীর লোকের বন্দনাযোগ্য —বিশ্ববন্দিত, বিশ্ববন্দ্য।
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন ।
সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন ।
সারা দুনিয়ায় খ্যাত—জগদ্বিখ্যাত।
সাধনা করেন যিনি—সাধক।
সোনার মতো দেখতে—সোনালি।
সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা ।
স্রোত আছে যার — স্রোতস্বতী।
সিংহের ডাক—হুংকার।
হ
স্থির নয় এমন — অস্থির।
হনন/হত্যা করার ইচ্ছা- জিঘাংসা ।
হরিণের চামড়া- অজিন ।
হাতির ডাক- বৃংহতি ।
হনন করার ইচ্ছা—জিঘাংসা।
হরিণের চামড়া—অজিন।
হঠাৎ রাগ করে যে—রগচটা।
হাতির ডাক—বৃংহিত।
হিত কামনা করে যে—হিতৈষী।
জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান — সজ্ঞান।